Temple run এর সত্যি ঘটনা

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা

কেমন আছেন আপনারা সবাই আশা করি অনেক ভাল

আপনাদের দোয়ায় আমি অনেক ভালো আছি
তো আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি টপিক নিয়ে

এই টপিকটি তো আমরা জানবো টেম্পল রান গেম টি কি সত্যিই কোন ঘটনার উপর তৈরি?

তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি
টেম্পল রান এই গেমটি অনেক জনপ্রিয়
আপনার একটি স্মার্টফোন থাকলে আপনি একবার হলেও এই গেমটি খেলেছেন
কিন্তু আপনারা অনেকেই জেনে অবাক হবেন এই গেমটি একটি সত্য কাহিনীর উপর তৈরি করা হয়েছে
বন্ধুরা একটা জিনিস লক্ষ্য করুন আজ পর্যন্ত টেম্পেল রান এর মত অনেক গেম লঞ্চ হয়েছে
কিন্তু সব গেমগুলোর মূল কাহিনী কিন্তু একটাই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে
গেমের মধ্যে থাকা ক্যারেক্টার একটি গুহা থেকে বের হয় এবং তার পিছে কিছু দানব ধাওয়া করে এবং এভাবেই যতদূর পর্যন্ত সে বেঁচে যেতে পারে এটাই আসলে গেমের কাহিনী
এখন জানব সত্যি কি এমন কোন ঘটনা ঘটেছিল
বন্ধুরা তোমরা কি কখনো টেম্পল রান গেম টি খেলেছ যদি খেলে থাকো তাহলে কমেন্ট করো অবশ্যই জানাবে তোমরা কত দূর পর্যন্ত গিয়েছো
1990 সালে ব্রাজিলের অ্যামাজন নামক জঙ্গল থেকে একটি লোক বেরিয়ে আসে
লোকটির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল
প্রায় মৃত অবস্থা তারপর স্থানীয় লোকেরা ওই লোকটিকে একটি হসপিটালে ভর্তি করে
এবং অনেকদিন চিকিৎসার মাধ্যমে সে মোটামুটি সুস্থ হয়
এবং তার সেন্স ফিরে আসে
এরপর যখন লোকটিকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনি আমাজন জঙ্গল থেকে এই অবস্থা কিভাবে হল তখন লোকটির সব ঘটনা খুলে বলেন
যে কিভাবে সে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছে
লোকটি জানান তার নাম হচ্ছে জনাথন লেট
তিনি USA থেকে এসেছেন এবং তিনি একজন আর ক্যালটেক্স
সে তার টিমের সঙ্গে অ্যামাজন জঙ্গলে একটি হিডেন টেম্পেল বা মন্দির খুঁজতে এসেছিল
এবং বেশ কয়েকদিন খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে তারা মন্দিরটিকে খুঁজে পায়
কিন্তু ওই মন্দিরে থাকা আদিবাসী গুলো তাদেরকে হামলা করে এবং তাদেরকে আটক করে রাখে
আটক করার পর তারা একটা জিনিস লক্ষ্য করে যে আদিবাসী গুলো
তাদেরকে আটক করেছে তারা সাধারণ মানুষের থেকে একটু বড়
এবং এসব আদিবাসীর কাছে পালিত কিছু বড় বড় অদ্ভুত ধরনের জন্তু রয়েছে
যেগুলো দেখতে বড় বানর বা গরিলার মতো হলেও সত্যিকারে সেটি গরিলা বা কোন বানর নয়
কিছুদিন যাওয়ার পর তার কিছু জিনিস জানতে পারে এইসব আদিবাসীরা একটি এলডোরাডো নামের মূর্তিকে পূজা করে

মূর্তিটি অনেক দামি মূর্তিটি পুরোটাই স্বর্ণের তৈরি এবং গোলাকার

ওই লোকটি আরো জানায় ওই মূর্তির পূজার জন্য প্রতিদিন তার টিম থেকে একজন একজন করে বলে দিত
এভাবে অনেক দিন যাওয়ার পর তার টিমের আর কেউ বেঁচে রইল না শুধু বেঁচে রইল সে
ওইখান থেকে কিছু আদিবাসীর জনের ওপর একটু মায়া হয়
যার কারণে ওই আদিবাসী জন কে সাহায্য করতে রাজি হয়

কিন্তু সাহায্য করবে একটি শর্তে

শর্তটি হচ্ছে সে যখন পালাবে
পালানোর সময় এলডোরাডো নামের মূর্তিটি কে চুরি করে নিয়ে যেতে হবে
অ্যামাজন জঙ্গল থেকে পালিয়ে যেতে হবে এবং সে যদি পালিয়ে যেতে পারে তাহলে সে বেঁচে যাবে
কারণ ওই মূর্তিটি থাকলে আদিবাসী গুলো এভাবেই আরো অনেক নিষ্পাপ মানুষের বলে দিবে
আর যদি এই মূর্তিটি না থাকে তাহলে ওই আদিবাসী গুলো আর কোন খুনাখুনি করবে না বা কোনো হত্যাও করবেনা
জন এর কাছে আর কোন রাস্তা না থাকায় সেই প্রস্তাবে রাজি হল
কিছুদিন পর আদিবাসীর সাহায্যে জন সেখান থেকে পালিয়ে যায়
এবং পালানোর সময় সে ওই এলডোরাডো নামক মূর্তিটি চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়
এবং ওই মূর্তিটি চুরি করার সাথে সাথে তার পিছু পিছু ওই অদ্ভুত ধরনের বানর বা গরিলার মতো দেখতে অদ্ভুত প্রাণী তাকে মারার জন্য তার পিছু পিছু ধাওয়া করে
এই বিশাল আকৃতির গোরিলা গুলো ওইখানকার আদিবাসী রায় পালন করত
তারা বলেছিল এই এলডোরাডো নামক মূর্তিটি কে রক্ষা করার জন্য এই অদ্ভুত ধরনের প্রাণী গুলো এখানে থাকতো
জন অনেক কষ্টে জঙ্গলে দৌড়াতে থাকে
কিন্তু ওই প্রাণী গুলো কিছুতেই তার পিছু ছাড়ছে না টানা দুই দিন এভাবেই ওই গরিলা টি থেকে জন পালাতে থাকে
এবং যনের পিছনে ওই ভয়ঙ্কর আকার গরিলা ঘুরতে থাকে জন অনেক কষ্ট করে সেই অ্যামাজন জঙ্গল থেকে বের হয়ে শহরে ঢুকে
এবং শহরে ঢুকে সে লক্ষ্য করে তার পিছনে আর ওই গরিলা গুলো আসছে না
গরিলা গুলো কোথায় যেন উধাও হয়ে গেছে
আর এভাবেই জন ওই ভয়ংকর আকৃতির গরিলা গুলোর হাত থেকে বেঁচে যায়
যখন এইসব ঘটনা জন সবাইকে খুলে বলল জনের কথা কেউ বিশ্বাস করল না
কিন্তু জন যখন পড়ে তার ব্যাগ থেকে ওই মূর্তিটি বের করে সবাইকে দেখায়
তখন কিছু মানুষ অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইল এবং তাকে বিশ্বাস করল
এই এলডোরাডো নামক স্বর্ণের মূর্তিটি বর্তমানে ব্রাজিলেরন্যাশনাল মিউজিয়ামে রাখা আছে
আপনারা চাইলে এটি গুগল করে দেখতে পারেন
এরপর আস্তে আস্তে এই গল্পটি পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে যেতে থাকে
এবং অনেক বছর পর 2006 সালে একটি গেমিং কোম্পানি এই গল্পটি শুনতে পাই
এবং তারা ডিসিশন নেই এই গল্পটির ওপর একটি গেম তৈরি করবে তারা এই গেমটি দীর্ঘ চার বছর ধরে তৈরি করে
এবং সব শেষে 2011 সালে গেমটি অফিশিয়াল ভাবে পাবলিশ করা হয় এবং ওই কোম্পানি গেমটির নাম দেয় টেম্পল রান
তারপর থেকে আমরা প্লে স্টোরে গেমটিকে দেখতে পারছি এবং এটিকে খেলতেও পারছি
এই গেমের মধ্যে একটি লোক একটি মন্দির থেকে বা একটি টেম্পেল থেকে একটি মূর্তি চুরি করে নিয়ে পালাতে থাকে এবং তার পিছনে অদ্ভুত আকৃতির একটি প্রাণী তাকে ধাওয়া করতে থাকে আর ওই প্লেয়ার কে ওই দানবের হাত থেকে পালিয়ে যেতে হবে
এটাই এই গেমটির মূল কাহিনী
মূলত এই টেম্পল রান গেম টি এর কোন ইন্ড লেবেল নেই কিন্তু যাই হোক টেম্পল রান গেম এর ব্যাক স্টোরিটা কিন্তু অসাধারণ ছিল
তো বন্ধুরা এই ছিল টেম্পল রান গেম এর রিয়েল স্টোরি
এখানে যা কিছু বলা হয়েছে এসব কিছুর বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস আপনার নিজের উপর নির্ভর করে
কারণ আমি এই বিষয়টি সত্যিকারে দেখি নি
আমিও এটি অনলাইন থেকেই পেয়েছি জরুরী না অনলাইনে যা কিছু বলা তা সব কিছুই বিশ্বাস করা তবে ঘটনাটিকে আমরা কাল্পনিক ভাবে বিশ্বাস করতে পারি এবং এর মজা নিতে পারি
তো বন্ধুরা আজকের পোস্টটি এ পর্যন্তই কথা হবে নতুন আরেকটি পোস্টে এ ধন্যবাদ
তোমরা যদি কোন কিছুর বিষয়ে জানতে চাও তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং তোমার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেনা
 ওয়েবসাইটটি সবসময় ভিজিট করতে বুকমার্ক এ সেভ করে রাখ