অভিশপ্ত চেয়ার ভাবতেও অবাক লাগে অভিশপ্ত চেয়ার
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে কুখ্যাত এই চেয়ারটি রয়েছে
ইংল্যান্ডের উত্তর বাস পিসি উ গ নামক একটি জায়গায় কেবল এই একটি চেয়ারের কারণে সমগ্র ইংল্যান্ডের মানুষের কাছে এক রহস্যময় স্থান হিসেবে পরিচিত পেয়েছে আজ থেকে প্রায় 300 বছর আগের কথা
সালটি ছিল 17 স দুই
অভিশপ্ত চেয়ার ইংল্যান্ডের থমাস বারফি নামের একজন লোক তার শ্বশুর মশাই কে হত্যা করে আর তার অপরাধে তাকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়
ফাঁসির আগে তার শেষ ইচ্ছে জানতে চাইলে উনি বলেন
তিনি তার সবচাইতে প্রিয় চেয়ারে বসে জীবনের শেষ খাবার খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন
থমাস এর এই অদ্ভুত ইচ্ছে পূরণ করা হয়
খাবার শেষ করে চেয়ারটি ছেড়ে উঠে দাঁড়ান
আর বড় বড় চোখ করে বলতে থাকেন সবাই সাবধান এটি আমার সবচাইতে প্রিয় চেয়ার
আমি আমি আর কখনো এটিতে বসার সুযোগ পাবো না তাই বলে দিচ্ছি এই চেয়ারে যে বসবে সে হঠাৎ করেই মারা যাবে এবং তার মৃত্যুর কারন হব আমি
ঘটনাটি ওইখানে থাকা উপস্থিত সবাইকে চমকে দিয়েছিল
এরপর 200 বছর পার হয়ে গেলেও চেয়ারটি তারি বাসায় রয়ে যায়
কিন্তু কেউই এই চেয়ারটিতে বসতো না
আসল আসল ঘটনাটি শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়
একজন সেনা তার বাসায় এসে ওই অভিশপ্ত চেয়ারটিতে বসেন
সেই দিন অবশ্য তার কোন কিছু হয়নি
কিন্তু যুদ্ধের সময় তার অদ্ভুত ভাবে মৃত্যু হয়েছে
এরপর আরো কয়েকজন সৈন্য সেই চেয়ারটিতে বসে ছিলেন
আর আশ্চর্যের ব্যাপার হলো
তাদের তাদের মধ্যে কেউই যুদ্ধ থেকে ফিরে আসে নি
এবং এবং সবার মৃত্যুই একই রকম আশ্চর্যভাবে হয়েছে
এরপর এরপর আরো দুজন লোক এই চেয়ারটিতে বসে অভিশাপতো কে ভুল প্রমাণ করতে চেষ্টা করেন কিন্তু তাদের একজন বসতে পারলেও অন্য জনের আর বসা হয়নি
সেই দিন বিকেলে এক গর্তে পড়ে সেই চেয়ারে বসা লোকটির অকালে মৃত্যু ঘটে
1967 সলের আরেকটি ঘটনা
ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীর দুজন পাইলট ওই চেয়ারে বসে ছিলেন
খাওয়া-দাওয়া শেষে সেই রুম টি থেকে বের হতে না হতেই সামনের রাস্তায় এক ট্রাক তাদের পিষে চলে যায়
এই ঘটনাটি ঘটার পরে ইংল্যান্ডের এর অধিবাসীরা অভিশপ্ত চেয়ার
টিকে দোষ দিলেও যুক্তিবিদ্যার মতে ওই ট্রাকের ড্রাইভার মাতাল হয়ে ওই দুজন পাইলটের মৃত্যু ঘটে
এক রাজমিস্ত্রি এই চারটি রবিশপ কে কুসংস্কার বলে চেয়ারটিতে বসে পড়েন
এরপর উনি কাজ করা অবস্থায় বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মারা যান
এত কিছু ঘটনার পর লোকজন চেয়ার টিকে অভিশপ্ত বলতে থাকলে ওখানকার মেয়র বিষয়টির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়
নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ওই চেয়ারটি কে জাদুঘরে নিয়ে যাওয়া হয়
ভুলবশত বা কৌতুহলী হয়ে কেউ যেন এই চেয়ারটিতে বসতেন না পরে তার জন্য এই চেয়ারটি কে মাটি থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে
তো বন্ধুরা
আজকের আজকের কাহিনীটি এপর্যন্তই অন্য আরেকদিন অন্য আরেক কাহিনী নিয়ে কথা হবে
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন